যশোরের অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্ত সাইদুর রহমান ও তার স্ত্রী রুনা আফরোজের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়ন কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় শিক্ষার্থীসহ তাদের অনেক অভিভাবকের ভিড়। জন্মনিবন্ধন নিতে আসা নওয়াপাড়া মডেল কলেজের ছাত্র কাজল জানান, জন্মনিবন্ধনের জন্য তার কাছে ৭০০ টাকা চাইছেন সাইদুর রহমান।
আমি তাকে কিছু টাকা কম নেওয়ার কথা বললে সে কোন জবাব দেয়নি। নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র মিকাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ৩০০ টাকা জমা দিয়েছি গত ৩দিন আগে। প্রতিদিন আসলে বলে কাল আসো আজ না।
উপস্থিত একজন ছাত্রী ও তার মা জানান, আমাদের কাছ থেকে ২০০ টাকা নিয়েছে। জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে সাইদুর রহমান জানান, আমরা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ কোন বেতন পাই না।
তাই সরকারি ফি ছাড়া আরো ৫০ টাকা বেশি নিয়ে থাকি। এর বেশী টাকা নেওয়া হয় না। মিথ্যা অভিযোগ করছে মানুষ। টাকার রশিদ দেওয়া হয় কি হয় না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, যদি কেউ রশিদ চায় তাকে দেওয়া হয়। কিন্তু ভিন্ন কথা বললেন মহিলা উদ্যোক্তা রুনা আফরোজ। তিনি বলেন, রশিদ দিতে হবে এমন কোন র্নিদেশনা আমাদের নেই।
এছাড়া এই দপ্ততরটির বিরুদ্ধে ইউনিয়নের মৎস ও প্রাণী সম্পদ অফিস কক্ষটিকে আবাসিক হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে এ দুইজনের বিরুদ্ধে।
ইউনিয়ন সচিব মো: আবু রাসেল বলেন, বিভিন্ন সময় মানুষ মৌখিকভাবে অভিযোগ করলে আমরা তাদের ভবনটি ছাড়তে বলি। কিন্তু কি কারণে ছাড়ছে না এটা চেয়ারম্যান বলতে পারবেন।
চলিশিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নাদির মোল্লা বলেন, আমিও সাইদুর ও আফরোজার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। গত ২৫ মে সকালে তাকে কড়া ভাষায় হুশিয়ার করেছি।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে জন্মনিবন্ধনে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ার বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: আমিনুর রহমান বলেন, যে সকল ছাত্র বা ছাত্রীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে তাদেরকে আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে বলেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানা
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।